ফায়ারিং স্কোয়াডে
সারিবদ্ধ মানুষ এক গুলিতে মরে যেতে দেখেছি।
যদি আল্লার হুকুমে আজরাইল তেমনি চালায় হত্যাযজ্ঞ
সারিসারি নামাজরত লোকেদের মাঝে, সেজদায়
যেতে যেতে গুলিবিদ্ধ সৈনিকের মতো এলোপাথারি
পরে যেতে রাজি আছি।
মসজিদে পাশাপাশি
দাঁড়াতেই মনে হয় যেন প্রতিটা নামাজরত মুসল্লী
ফুল কিংবা মুক্তোদানা। সুঁচ হাতে ফেরেস্তাদের কেউ
সবাইকে এফুড় ওফুড় গেঁথে বাঁধছেন বিশাল মালা।
মালা; নাকি তসবী...! গাঁথা শেষে শোভা পাবে
খোদার গলায়।
কথাটা ভাবতেই
চোখেতে আমার আসে জল। সে জল গাল গড়িয়ে
মসজিদের মেঝেতে পড়ার অপেক্ষায় থাকি। তারপর
দু’ফোটা কান্না হাতের তালুতে নিয়ে লোশনের মতো মাখি
সারা গায়। কে যেন আমায় বলেছিলÑ চোখের জলেই নেভে
নরকের তীব্রজ্বালা।
অবনত করি মাথা
তার দরবারে, যিনি বিশ্বপ্রতিপালক। মেঝেতে কপাল
ঠুকে কড়া জমে চামড়ায়। আমার কি পাগলামি...! ভাবিÑ
এ আল্লার কাছ থেকে পাওয়া সেই চিহ্ন, ইতিহাসের
রাজাগণ নিজের আঙুল কেটে সেনাপতির কপালে যেমন
পরিয়ে দিতো রাজটিকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন