শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ত্রিদীপ

এক.
বুকের ভেতর প্রজ্জ্বলিত বারুদের ক্ষোভ, আগুন যদি না জ্বলে
তবে নিজেকে পুড়িয়ে যোগাবো আলো।
জীবনকে ঢেলে সাজাবার ডাক দিয়ে যাই-
‘পথ নাই আর পথ নাই 
অন্ধকারে অগ্নিশিখা জ্বেলে দূর করতেই হবে কালো।’

দুই.
দুর্ভিক্ষের আঁচড় লেগেছে যাদের গায়, তারা কি তবে 
নিঃসম্বল হয়েই মরবে সবে....?
ক্ষুধার্তের বোবা কান্না আর বঞ্চনার দীর্ঘশ্বাস শুনেও
ত্রিদীপ হাতে ক্রুদ্ধ দেবতা দেবালয়ে নীরব দাঁড়িয়ে রবে...!!

তিন.
জালিমের দল ছাউনী গেড়েছে আমাদের অঙ্গনে 
প্রদীপের মতো উপকারী আলো বিলাবার দিন আর নয়...
বারুদোত্তাপে জ্বলে উঠবার এসেছে কঠিন সময়।

চোখ তেড়া

মহাত্মা গান্ধী করেছিলেন তেরোবছর বয়সে, শেখ মুজিবকেও
আঠারোতে বিয়ের পিঁড়িতে
বসতে হয়। আর রবিঠাকুর...? সে যুগের সবাই কমবেশি
মুকুল ধরতে না ধরতেই বয়সী বকুল।
দাদারা ভারি কাচের চশমায় পড়তেন সংবাদপত্র। কোথাও
ধর্ষণ নেই, শব্দটা অভিধানে ছিল না নাকি...!
বউকে কুপিয়ে তিনারা এতটাই
ঘেমে যেতেন যে ধর্ষণ করার সুযোগই জুটেনি ঘর্মাক্ত কপালে।

গোলাম সারওয়ার, এ যুগের বিচক্ষণ সম্পাদক, অনিচ্ছা সত্ত্বেও
লাল কালির শিরোনামে ছাপা হয় একটি মেয়ের শ্লীলতাহরণ
তার দৈনিকে প্রায় প্রতিদিন।
উনত্রিশে আমাদের লেখাপড়ায় ইতি, ত্রিশে চাকরির সন্ধানে জুতো ক্ষয়
তেত্রিশে বিবাহ বন্ধন- এই বিশাল সময়ের কাঁনাচে কদাচিৎ ধর্ষণ
অস্বাভাবিক কিছু তো নয়।
ভুলে গেলে চলবে না, সে যুগের তিনাদের মতো
নাভীর নিচের পশম এ যুগেও তেরো চৌদ্দতেই গজায়।

সংবাদপত্র হাতে নিয়ে চায়ের কাপে
ঠোঁট ডুবিয়ে সহকর্মীর দিকে চোখ তেড়া করেন
সরকারি কাচারির দ্বিতীয় শ্রেণির চাকুরে নিরঞ্জন-
“বুঝলেন দিদি আমি কি বলি, বাল্যবিবাহের মূল উৎপাটন
করতে গেলে বেড়ে যেতেই পারে ধর্ষণ।”