তিনজন ডুবুরি ক্রমানুপাতিক
ডুবছেন-ভাসছেন, যেন মাছের সন্ধানে পানকৌড়ি।
সবাই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। নদীর ¯্রােত
এইখানটায় ঘূর্নিবায়ুর মতো, চামচের আঘাতে শরবত
যেমন ঘোরে চক্রাকারে, কাচের গ্ল¬াসে।
সাঁতার না জানা ছেলে, সাথীদের সাথে খেলতে এসে
হয়তো তলিয়ে গেছে ¯্রােতের অতলে। হয়তো জলপরী
মাছেদের রাজকন্যা, মৎস্যকুমারী তাকে নিয়েছে টেনে
অচেনা জগতে পাতালপুরীর।
তিনজন ডুবুরি, যেন পানকৌড়ি; অপেক্ষমান
তীরের সমগ্র মানুষ। নদী তুমি এতো নিষ্ঠুর কেন!
ছেলেটা ঘোরাতো লাটিম। ইশকুলে তার
খ্যাতি ছিলো লাটিমবাজ বলে, আর ছিল
শিশুপার্কে নাগরদোলায় চড়ার ভিষণ রকম শখ।
তিনজন ডুবুরি অতলান্তিক ¯্রােতে
পেলো তার সাক্ষাৎ।
যেন সে জলের নাগরদোলায় দুলছে, যেন সেÑ
জলকুমারীর লাটিম, সূর্যের পাশে ঘূর্ণায়মান পৃথিবী।
নদী তুমি কতো জল ধারণ করো? এই দেখো, ছেলেটার
মায়ের চোখের জলে, বাবার চোখের জলে
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অনায়াসে ডুবে যেতে পারে।