মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭

প্রত্যাখ্যাত

:যেও না অমন
    পা চালিয়ে দ্রুত, খানিক দাঁড়াও
        কথা আছে।
:কী কথা বলবে বলো
    কান খোলা রেখেছি
        শুনতে ব্যাঘাত ঘটবে না।
:চটে যাও কেন এমন অকস্মাৎ
    শুধু তো দুটি কথা বলবো অনুক্ষণ
        তারপরই হবে প্রস্থান নিরবে।
:চটে গেলাম কই দেখলে
    তোমাকে প্রশ্রয় দিতে চাই না
        এর চেয়ে বেশি কিছু নয় তো।
:প্রশ্রয়...! হাসালে তুমি
    করুণা আমিও চাই না
        শুধু চেয়েছিলাম দু’দ- আলাপন।
:অনুমতি দেওয়া আছে
    চটপট বাসনার ঘটিয়ে নিবৃত্তি
        সাধু-সন্ন্যাসীর মতো পিছন দরজা দিয়ে কেটে পড়ো।
:হয়তো তোমারই জন্য সেদিন
কাঁটাগুল্মে ফুটেছিল মোহন গোলাপ, নেমেছিল গোধূলী
    সঘন স্বানন্দে, শ্রান্ত নদীর জলধারার ওপারে কাশবন
        কেঁপে উঠেছিল সমীরণে।
:আমি সাধারণ মেয়ে
    আমার জন্য ঘটবে না কোনকালে
        এইসব অতি মনোরম বিষয়াবলী।
:তোমারই জন্য, শুধু তোমারই জন্য
    ঘাস-নদীর বিশুদ্ধ ভালবাসা দেখেছিলাম, অঝর ধারায়
        কেঁদেছিল আকাশ, কদম মেলেছিল চোখ কদমশাখায়।
:ধুত্তুরি ছাই, ডেকেছো আমায় পিছু
    চাই না শুনতে এসব অকাজের কথা, অন্যকিছু
        থাকলে পারো বলতে শিগগির।
:তোমারই জন্য ফুটেছিল শাপলা দিঘীর কোমল জলে
    ঝরছিল বকুল তোমাকে দেবো বলে উপহার, আমার ভালবাসা
        বুকের ভেতর চপলা পাখির মতো করছিল উৎপাত।
:সে তোমার নিজস্ব বিষয়, আমাকে
        ওসবের মাঝে জড়িও না।
:অথচ তুমি তো ছিলে একদিন আমার
    শুধু আমার, তোমার সত্ত্বা তোমার ছায়া
        আমার এতোসব বিষয়ের মাঝে করে বিচরণ।
:থাক থাক, ওইসব পুরাতন প্রেম
    ভুলে যেও ভ্রমরা যেমন ভুলে ফুলকে
        মধু যোগাড়ের আয়োজন শেষে।
:তোমাকেই দেবো বলে সযতনে
    এই দেখো, এনেছি দিঘীর শ্বেত শাপলা
        ঝরা বকুলের সুঘ্রাণ মালিকা।
:এসবের কোন প্রয়োজন আছে কি
    তোমার সম্পদ রেখে দাও তোমারই কাছে
        বহু যতনের চেয়েও আরও অতি যতনে।
: নিলে না তুমি ক্ষণিকের উপহার
    আমার অনুক্ত ভালবাসা ঝরে গেলো নিঃশব্দে
        ঐ সব প্রভাতের প্রত্যাখ্যাত বকুলের মতো।