বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

প্রভাতের প্রথম পাখি

হুলো বিড়াল তিনবার শুঁকলো গন্ধ
পুরনো দেয়ালের, তারপর লেজ উঁচু করে দিলো ছিটিয়ে
মূত্র কয়েক ফোটা। থাম্বার পাদদেশে চট বিছিয়ে
বসেছেন যে ল্যাংড়া ভিখারি তার হাতের লাঠি
বড়োবেশি দেখালো ভয় বিড়ালটিকে
বাতাসে দুপাক ঘুরে।

‘ছাই নেবে গো ছাই’- যিনি করছেন চিৎকার গলা ফাটিয়ে
তিনি আর কেউ নন, বস্তিপাড়ার সেবিনা বেগম, যার বড় মেয়ে
তিন বেলা মেজে দেয় এঁটো থালাবাটি
এর তার ঘরে, যার ছোট ছেলে
পিঠে ঝুলি নিয়ে কুড়ায় কাগজ, পুরনো বোতল, ভাঙ্গা-ছেড়া
প্লাস্টিক আর আস্তাকুড়ের ঝিম ধরে পড়ে থাকা নেড়িকুত্তাকে
ঢিল ছুড়ে মজা পায়।
‘ছাই নেবে গো ছাই’- যার প্রাণের স্বামী রাজমিস্তিরি ছিলো
ছাদ থেকে পরে গিয়ে মরে গেছে দুবছর হলো। কি সহজেই
চলে যায় সময় আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে যাওয়া বালির মতো,
চাইলেই ধরে রাখা যায় না তাকে।

রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান
ক্যাটলির নলে রেশমী ধোঁয়ার নাচ, ক্রিং ক্রিং বেল বাজিয়ে
গেল পত্রিকার গাড়ি। কাকেরাই হয়তোবা প্রভাতের প্রথম পাখি
যারা ডেকে ওঠে অট্টালিকার সবচেয়ে উঁচু খুঁটিটায় বসে
আর উড়ে যায় এ-ছাদ ও-ছাদ, কৃষ্ণপালকে
সূর্যকিরণ মেখে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন