বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

কবির বিধ্বস্ত কঙ্কাল

নিরন্ধ্র এক গুপ্ত গুহায় পেতেছিলে তাবু, কিন্তু হঠাৎ
নিভন্ত আজ তোমার প্রদীপশিখা
ওড়না আঁকা অন্ধকারে শ্বেত হাড়ের পাহাড়, তোমার কেবল
সাপের ভয়ে আঁতকে ওঠা মুখ
প্রলয়োত্থিত ঝড়ে হৃদয় উঠলো নড়ে, জলতেষ্টায়
শুকনো মরু তোমার কণ্ঠনালী।
কলম হাতে কবি- সামনে লিখা কাগজ, দুঃখগুলো
ছাপাখানায় মলাটবন্দি বই
যা লিখেছো পুড়িয়ে ফেলে উড়িয়ে দাও ছাই, মুখে তোমার
বিকেল বেলার অস্তমিত রোদ
ঝরা শিশির জীবন তোমার যাবে একদা মরে, হঠাৎ হাওয়ায়
যেমন নিভে মাটির প্রদীপখানি।
হোঁচট খেয়ে চলন্তজন ভীষণ চমকে ওঠে, ওগো কবি
অহংকার তো মানায় না আর তোমায়
মধ্যরাতে পোষা কুকুর বিলাপ করে কাঁদে, শুনতে কি পাও
হয়তো কোথাও কেটে গেছে তাল
গামছা এনে পুঁটলি বাঁধো শেষ সম্বল তোমার, ছড়িয়ে থাকা
বুকের পাঁজর বিধ্বস্ত হাড়-গোড়।
কবরখানায় কঙ্কালটি মাটি চেপে রাখা, ভূতের সঙ্গে
শুরু হবে তোমার পাশা খেলা
পাহাড় চূড়ায় জোছনা বিলাস স্থগিত, পৃথিবীটা হবে না আর
পায়ে হেঁটে এফোঁড় ওফোঁড় করা
মাঝদুপুরে গঙ্গাফড়িং বীজতলাতে নাচে, তোমার কলম
সেই কথাটি লিখবে না আর খাতায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন